বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ ধরে বাজারে খোলা আটার দাম বেড়ে খুচরায় প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে প্যাকেটজাত আটার দামও। বাজারে কেজিতে আটার দাম ৬ থেকে ১০ টাকা ও ময়দার দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা জানান, খোলা ও মোড়কজাত (প্যাকেট) উভয় ধরনের আটা ও ময়দার দামই বেড়েছে।
১৫ দিন আগে মোড়কজাত আটা (দুই কেজি) কেনা যেত ৯০–৯৫ টাকায়। এখন সেই দাম বেড়ে ১১০–১১৫ টাকা হয়েছে। আর খোলা আটার কেজি ৩৮-৪০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৮-৫০ টাকা হয়েছে।
এদিকে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ছোট দানার মসুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।
বর্তমানে তা ১৫০–১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা দানার মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া মুগডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা। আর ছোলার দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা।
মুরগি ও ডিম এখনো চড়া : এখনো আগের বাড়তি দামে মুরগি ও ডিম বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি মানভেদে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।
মহাখালী কাঁচাবাজারে ক্রেতা আক্তার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মাছ-মাংসের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ ডিম ও ডালের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু তাও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা এখন যাব কোথায়? বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে আছে। দ্রুত বাজার তদারকিতে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।’
রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গোল বেগুন মানভেদে ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এ ছাড়া ঢেঁড়স ও পটোল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ধুুন্দল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙা ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, নতুন শিম ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লম্বা লাউ ৮০ থেকে ৯০ টাকা। কাঁচকলার হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।